Thursday, July 27, 2017

সমাজ হল এমন একটা জায়গা যেখানে একদল স্বার্থপর লোক নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য একত্রে বসবাস করে। সমাজ যেদিন দেখবে আপনার কাছ থেকে কোন প্রকার স্বার্থ হাসিল হচ্ছে না সেদিন সে আপনাকে দুমড়ে মুচড়ে ছুড়ে ফেলবে।
-ছদ্মবেশী

Tuesday, February 7, 2017

#১
মেয়েটি এসেছে বিয়ের মঞ্চ থেকে পালিয়ে এসেছে, আসার পথে রাস্তার পাশ থেকে কয়েকটি লাল গোলাপ কিনে নিয়ে এসেছে,ছেলেটিকে আজ সে ভালবাসার কথা স্বীকার করে নেবে ছেলেটি যে তাকে বড় বেশিই ভালবাসতো।
#২
মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে স্তব্ধ হয়ে হাতে রয়েছে কয়েকটি লাল গোলাপ আর পরনে লাল বেনারসি শাড়ি, পাশেই আছে ছেলেটি তবে মেয়েটির পাশে দাঁড়িয়ে নই, সাদা কাফন জড়িয়ে শুয়ে আছে চুপ করে,মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে লাল গোলাপ হাতে।
ভালবাসার কোন দৈর্ঘ, প্রস্থ,বেধ নেই মোট কথা এটা কোন বস্তু না যে এটাকে দেখায়ে বেড়াতে হবে। ভালবাসায় দেখানোর মত কিছুই নাই।
কাওকে দেখানোর জন্য হাত কাটা, ঘুমের ওষুধ খেয়ে কারো সিপমাথি পাওয়া, হঠাত একদিন মৃত্যুর জন্য এগিয়ে যাওয়া এগুলো ভালবাসার প্রকাশ নই। চাইলে যে কেউই এগুলো করতে পারে যে কারো জন্য।
যেই শরীরের, যেই মনের সাথে এতদিনের বসবাস সেই শরীর মন কে যদি ভালবাসা না যাই তবে সে অন্যকে কি করে ভালবাসবে? নিজের ক্ষতি করা মানেই ভালবাসা নই।
নিজের ক্ষতি কিংবা নিজেকে কষ্ট দিয়ে একটা আবেগপ্রবণ ছেলে বা মেয়ের করুণা পাওয়া সম্ভব সেই করুণাই হয়তো সে নিজেকে দিয়ে দিতেও প্রস্তুত কিন্তু সেটা ভালবাসা নই।
ভালবাসা হল এমন একটা জিনিষ যা ঢাল ঢোল পিটিয়ে প্রকাশ করে বেড়ানো যায় না। ভালবাসা হল এমন এক জিনিষ যা গভীর রাতে হাসিয়ে দেই আবার কখনো কাদিয়ে দেই।
ভালবাসা কখনো কখনো বুকের বাম পাশে চিন চিন ব্যাথার সৃষ্টি করে আর সেই ব্যাথাটাই তখন অনেক বেশি ভাল লাগে।
ভালবাসা হল তাই যা বাচতে শেখায়,উঠে দাঁড়াতে শেখায়, কাঁদতে শেখায়,হাসতে শেখায়।ভালবাসা মানে নিজেকে ভালবাসা,ভালবাসা মানে ভালবাসার মানুষকে ভালবাসা ঠিক নিজের মত করে।
যারা মানুষটাকে পায় তারা ভালবাসা পায় না, যারা ভালবাসা পায় তারা মানুষটাকে হারাই। আমি বরাবরই ভালবাসার কাঙাল ছিলাম তাই তোমাকে হারানোর পর আমি আরো বেশি ভালবাসতে শিখেছি ভালবাসার মানে জেনেছি। আমি বরাবরই ভালবাসার কাঙাল ভালবাসা পেয়েছি নিজের মত করে, ভালবাসতে শিখেছি নিজের মত করে।
আমি সেই ছেলেটিকে চিনতাম যে ভালবাসায় ব্যার্থ হয়ে কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে বেচে যায়,একদিন সেই ছেলেটা খুব অনায়সেই অন্য একটা মেয়েকে বলে দিয়েছিল আমি তোমাকে ভালবাসি। সেই ছেলেটা অনেক দিন পর নতুন করে বাচতে শুরু করেছিল সেই মেয়েটির সাথে
আমি সেই মেয়েকে দেখেছিলাম যে সব সময় বলতো তুমি আমার না হলে আমি আর বাচবো না।ছেলেটি ছেড়ে যাওয়ার পর মেয়েটি আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিল তারপর অনেকদিন পর সেই মেয়েটাকে দেখেছিলাম মুখে হাসি কোলে বাচ্চা নিয়ে অন্য এক পুরুষের হাতে হাত রেখে ঘুরে বেড়াতে
এক সময় নেশায় বুদ হয়ে পড়ে থাকা একটি ছেলেকে দেখেছিলাম একদিন মুখে দাড়ি, টুপি পরে অন্য সবাইকে সঠিক পথে ফিরে আসার দাওয়াত দিতে।
আমি সেই ছেলেকে চিনতাম যাকে সবসময় বলা হত ছেলেটি গোল্লায় যাচ্ছে,মাথায় উষ্কখুষ্ক চুল মুখভর্তি দাড়ি,কাধে গিটার নিয়ে হেটে যাওয়া সেই ছেলেটিকে দেখেছিলাম একদিন স্যুট টাই পরে গিটার ফেলে হাতে ফাইল নিয়ে অফিসে যেতে
জীবণটা খুব বিচিত্র রকমের। অদ্ভুতভাবে বদলে যায় সব কিংবা জীবণের তাগিদে বদলে নিতে হয় সব কিছু, জীবণে সুখী থাকাটার অনেক প্রয়োজন যেকোন ভাবেই হোক না কেন
আপনিও কি নিজেকে খুব অসহায় ভাবছেন তাদের মত? হতাশায় জর্জরিত হয়ে নিজেকে শেষ করার কথা ভাবছেন? আপনার কাছের মানুষটি আপনাকে ছেড়ে চলে গেছে?কি ভাবছেন সব কিছু শেষ হয়ে গেছে?? হঠাত করেই সিদ্ধান্ত নিবেন না। নিজেকে শেষ করা মানেই মুক্তি নই।
নিজের জন্য একটু সময় নিন, আকাশপানে তাকিয়ে বড় করে শ্বাস নিন তারপর তারপর মনের যত কষ্ট দুক্ষ সবকিছু বিশাল আকাশের মাঝে উড়িয়ে দিন, বুকে হাত রেখে বলুন আপনি পারবেন আবার সব কিছু প্রথম থেকে শুরু করতে,আপনাকে পারতে হবে, আপনাকে সুখী হতেই হবে,দরকার হলে শূন্য থেকেই শুরু করতে হবে,জীবণে একটা জিনিষের খুব প্রয়োজন আর তা হল সুখী হওয়া।
হাসতে শিখুন হাসাতে শিখুন, ভাল থাকতে শিখুন ভাল রাখতে শিখুন,নিজের জন্য ভাবুন অপরের জন্য ভাবুন,
সেই ছেলেটিকে সমুদ্রের অসীম নীল জলরাশি এর দিকে তাকিয়ে কখনো কখনো সুখী হওয়ার থেকে বেশি নস্টালজিক হয়ে যেতে হয়। মনে পড়ে যায় ফেলে আসা হাজার দিনগুলির মাঝে কিছু বিশেষ দিনের কথা।
পাশে বসে স্ত্রীর চোখের দিকে তাকিয়ে হঠাত করে হারিয়ে যেতে হয় বাল্যকালের উচ্ছল প্রানবন্ত সেই কিশোরীর বাতাসে উড়ন্ত মেঘকালো খোলা চুলের ভিতরে।
সমুদ্রতীরে বসে আকাশের চাঁদ আর তারাগুলোকেও তখন মনে হয় অনেক বেশি ডিপ্রেশনে আছে। মনে পড়ে তখন গোধূলি লগ্নে সেই বালিকার হাতে হাতটি রেখে দূর আকাশপানে তাকিয়ে থাকার সময়গুলো।
রাতে স্ত্রীকে কাছে টেনে নেওয়ার সময় কখনো কখনো হঠাত করে হারিয়ে যেতে হয় নিজের দুবাহুর মাঝে সেই কিশোরীর আত্মসমর্পণ এর মুহুর্তের মাঝে।
খুব সাবধানে এই নস্টালজিক হওয়া মুহুর্তগুলো লুকিয়ে ফেলতে হয়। হয়তো স্ত্রীকেও লুকিয়ে ফেলতে হয় সযত্নে কোন বালককে নিয়ে ফেলে আসা অনেক অনেক স্মৃতির মাঝে নস্টালজিক হয়ে পড়ার মুহুর্তগুলো।
তারপর... তারপর ছেলেটি তার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে ছোট্ট একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলে আজ রাতে তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে, মেয়েটি বলে তোমাকে আজ অনেক রোমান্টিক লাগছে। তারপর দুজনই আবার আকাশপানে তাকাই। মনে মনে বলে দুজনে...
আজকের রাতটা অনেকবেশি ডিপ্রেশনে ভুগছে... অনেক বেশি
গতকাল আড়াই বছরের এক বাচ্চাকে জিজ্ঞাসা করলাম "বাবু বড় হয়ে কি হবে?" সে উত্তর দিল " বড় হয়ে মানুষ হবো "। আমি চুপ হয়ে গেলাম।
আমরা সবাই বড় হয়ে বড় বড় ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,ব্যাবসায়ী ইত্যাদি ইত্যাদি হতে চাই কিন্তু কেউ মানুষ হতে চাই না। কারণ মানুষ হওয়া অনেক কঠিন।
সবাই মানুষ হয়ে উঠুক আর বদলে যাক সমাজ, বদলে যাক দেশ, বদলে যাক বিশ্ব।
প্রত্যেকের জীবনে "কেউ একজন" থাকে ... কারো কারো ভাগ্য হয় ঐ "কেউ একজন" এর সাথে সারা জীবন থাকার ... আর কারো কারো ভাগ্য হয় "অন্য কোন একজন" এর সাথে সারা জীবন থাকার !!
তবুও জীবন থেমে থাকে না ... আমি, তুমি, "কেউ একজন", "অন্য কোন একজন" সবাই চলতে থাকে ... যারা কেউ একজন কে পাই তারা সুখী হয় আর যারা কেউ একজন কে পাই না তারা দুঃখ লুকিয়ে বেচে থাকে।
এটাকেই আমরা বাস্তবতা বলি। বাস্তবতার থেকেও বড় কথা হল যারা সেই কেউ একজন কে নিয়ে সারা জীবণ থাকতে পারে তারা জয়ী আর যারা পারে না তারা পরাজিত। ইতিহাস কখনো পরাজিতদের পক্ষ হয়ে কথা বলে না। জয়ীরাই হল আসল হিরো। যারা পরাজিত তাদের আসলে কষ্টগুলো লুকিয়ে ফেলা ছাড়া আর অন্য কোন উপায় থাকে না। ব্যাপারটা এমন নই যে পরাজিতরা মেন্টালি শক্ত কিংবা তারা যাদের হারিয়েছে তাদের ভাল থাকার জন্য নিজের ভালবাসা ত্যাগ করছে। এগুলো আসলে সান্তনা বাণী। আসল কথা হল যারা পরাজিত তাদের নিজেদের কষ্ট লুকানো ছাড়া আর কোন পথ নেই, চাই বা না চাই এই কষ্টকে লুকাতেই হবে। তাই এটাকে বাস্তবতার নামে নাম দিয়ে নিজের কষ্টকে লুকানোর ব্যার্থ চেষ্টা চালানো হয়। "বাস্তবতা" নামক কিছুকে কে মেনে নিতে হয়।
ইতিহাস জয়ীদের জয়গান করে, বাস্তবতা পরাজিতদের নিয়ে খেলা করে।