কবুতর পোষার নেশা ছিল একসময়। ছাদের চিলেকোঠার উপরে ছিল কবুতরের বাসা। অনেক কবুতরের মাঝে ধবধবে একজোড়া সাদা কবুতর ছিল সেখানে। যখন ই খেয়াল হত দেখতাম একসাথে বসে আছে বা খাচ্ছে তারা। পুরুষ কবুতরটি ছিল অন্যান্য কবুতর থেকে একদম আলাদা। সবসময় গলা উঁচু করে রাজার মত হেটে বেড়াতো। মেয়ে কবুতরটির পাশে অন্য কোন কবুতর ঘেঁষার চেষ্টা করলেই তাকে তাড়িয়ে দিত। মেয়ে কবুতরটিকে একদম আগলে রাখতো। আমার সবথেকে পছন্দের কবুতর ছিল এ দুটি। প্রায় প্রতিদিন ই ছাদে উঠে ওদের কার্যকলাপ দেখতাম।
হঠাত একদিন ভোর হওয়ার আগ দিয়ে কবুতরের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ঘুম ভেঙে গেল। দ্রুত ছাদে চলে গেলাম। মনের ভেতর যে ভয়টা পাচ্ছিলাম সেটাই হল। কবুতরের ঘরের সামনে কবুতরের রক্তমাখা পালক পড়ে আছে।বনবিড়ালে হামলা চালিয়েছে। রাতে কবুতরের ঘরের দরজা আটকানোর কথা ছিল কিন্তু আম্মু ভুলে যাওয়ার কারণে এই দশা। সেই কবুতর জোড়ার খোপের সামনে দেখি মেয়ে কবুতরটি মৃত অবস্থায় পড়ে আছে এবং ছেলে কবুতরটি আহত। দেখে বুঝতে পারলাম ছেলে কবুতরটি তার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছে তার সঙ্গীণীকে বাচানোর জন্য। বিধিবাম সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও পারেনি তাকে বাঁচাতে। কয়েকদিন এর প্রাথমিক চিকিতসায় ছেলে কবুতরটি সুস্থ হয়ে উঠলো পুরোপুরি। কিন্তু একটা জিনিষ লক্ষ করলাম কবুতরটি কেমন যেন হয়ে গেছে, ঠিকমত খায় না,সব কবুতর থেকে দূরে একা বসে থাকে। হাটার মদ্ধ্যে সেই তেজী ভাব টা আ
র নাই। কেমন জেন অস্বাভাবিক। বাসার অনেকেই লক্ষ্য করলো ব্যপারটা। আম্মা আমাকে কিছু টাকা দিয়ে বাজার থেকে একটা নতুন মেয়ে কবুতর কিনে আনতে বললেন আমি তাই করলাম। এরপর মা নতুন কবুতর আর সেই কবুতরটিকে একটা খোপের মধ্যে ঢুকিয়ে আটকাই দিলেন। এরপর কাজের ব্যস্ততায় আর দেখা হয়নি কবুতরের কি অবস্থা। কয়েকদিন পর বিকালের দিকে ছাদে উঠছি হটাত কবুতর জোড়ার কথা খেয়াল হল। চিলেকোঠার দিকে তাকিয়ে দেখি সেই ছেলে কবুতরটি আগের মত গলা উঁচু করে হেটে বেড়াচ্ছে তার নতুন সঙ্গীনীর পাশে এবং অন্যান্য কবুতর কে তার আশে পাশেও ভিড়তে দিচ্ছে না। হেসে ফেললাম আমি দেখে।
মানুষও এরকম। আজ আপনি হঠাত মারা যাবেন, কিছুদিন সবাই কাদবে, কষ্ট পাবে, একটা সময় আপনাকে ভুলে যাবে। কারণ যে মানুষটার অস্তিত্ব নেই তাকে নিয়ে ভাবার প্রয়োজন নেই। তাদের কে বাস্তব কিছু নিয়ে ভাবতে হবে।
আপনি আজ মারা যান আপনার সঙ্গীর জীবণ থেমে থাকবে না। কিছুদিন কষ্ট পাবে তারপর আবার নতুন করে জীবণ গোছাতে শুরু করবে অন্য কারো সাথে।
এর জন্য মানুষের কোন দোষ নাই। এটা প্রকৃতির নিয়ম। কোথাও একসময় পড়েছিলাম প্রকৃতি শুণ্য স্থান পছন্দ করে না। কোন না কোন ভাবে সে শূন্য স্থান কে পূরণ করে দেয়। প্রকৃতির রহস্য বোঝা বড়ই মুশকিল।
হঠাত একদিন ভোর হওয়ার আগ দিয়ে কবুতরের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ঘুম ভেঙে গেল। দ্রুত ছাদে চলে গেলাম। মনের ভেতর যে ভয়টা পাচ্ছিলাম সেটাই হল। কবুতরের ঘরের সামনে কবুতরের রক্তমাখা পালক পড়ে আছে।বনবিড়ালে হামলা চালিয়েছে। রাতে কবুতরের ঘরের দরজা আটকানোর কথা ছিল কিন্তু আম্মু ভুলে যাওয়ার কারণে এই দশা। সেই কবুতর জোড়ার খোপের সামনে দেখি মেয়ে কবুতরটি মৃত অবস্থায় পড়ে আছে এবং ছেলে কবুতরটি আহত। দেখে বুঝতে পারলাম ছেলে কবুতরটি তার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছে তার সঙ্গীণীকে বাচানোর জন্য। বিধিবাম সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও পারেনি তাকে বাঁচাতে। কয়েকদিন এর প্রাথমিক চিকিতসায় ছেলে কবুতরটি সুস্থ হয়ে উঠলো পুরোপুরি। কিন্তু একটা জিনিষ লক্ষ করলাম কবুতরটি কেমন যেন হয়ে গেছে, ঠিকমত খায় না,সব কবুতর থেকে দূরে একা বসে থাকে। হাটার মদ্ধ্যে সেই তেজী ভাব টা আ
মানুষও এরকম। আজ আপনি হঠাত মারা যাবেন, কিছুদিন সবাই কাদবে, কষ্ট পাবে, একটা সময় আপনাকে ভুলে যাবে। কারণ যে মানুষটার অস্তিত্ব নেই তাকে নিয়ে ভাবার প্রয়োজন নেই। তাদের কে বাস্তব কিছু নিয়ে ভাবতে হবে।
আপনি আজ মারা যান আপনার সঙ্গীর জীবণ থেমে থাকবে না। কিছুদিন কষ্ট পাবে তারপর আবার নতুন করে জীবণ গোছাতে শুরু করবে অন্য কারো সাথে।
এর জন্য মানুষের কোন দোষ নাই। এটা প্রকৃতির নিয়ম। কোথাও একসময় পড়েছিলাম প্রকৃতি শুণ্য স্থান পছন্দ করে না। কোন না কোন ভাবে সে শূন্য স্থান কে পূরণ করে দেয়। প্রকৃতির রহস্য বোঝা বড়ই মুশকিল।